ব্যবসার মানসিকতা আর বিনিয়োগের মানসিকতার মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে।
এই দুই মানসিকতাই প্রায় অবিচ্ছেদ্য এবং কখনও কখনও পরস্পর নির্ভরশীলও। অথচ তাদের সত্তা দুটো খুবই আলাদা।
আমার মতে, বিনিয়োগের মানসিকতার লোকেরা ধন সম্পত্তি বৃদ্ধির দিকে বেশি জোর দেন। তারা সফলভাবে এবং সচেতনভাবে তাদের ধন সম্পত্তি বৃদ্ধি করতে অনাবিল আনন্দ পান।
আমার মনে হয়, প্রত্যেক মানুষেরই বিনিয়োগ শেখা উচিত। শুধু টাকা পায়সা বা ধন সম্পত্তির জন্য নয়। এতে জীবনের অনেক শিক্ষাও পাওয়া যায়।
তবে আমি সেই সব লোকদের কথা বলছি যারা সবকিছুর চেয়ে বিনিয়োগ করতে বেশি পছন্দ করেন। এটাই তাদের ভালোলাগা। ভালোবাসা। সাধারণত তাদের যা আর্থিক শৃঙ্খলা থাকে সেটা একজন সাধারণ লোকের পক্ষে অর্জন করা কষ্টকর। তারা নিজেদের সেই ভাবেই তৈরী করেন। ঘষে মেজে।
অন্যদিকে ব্যবসায়ী মানসিকতার লোকেরা একটা ব্যবসা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আবেগ খুঁজে পান। সেটা একটা coffee shop ও হতে পারে বা একটা tech startup ও হতে পারে। ব্যবসার পুরো প্রক্রিয়াটা তাদের অনাবিল একটা আনন্দ দেয়।
ব্যবসার কঠিন লড়াইগুলোয় তারা বিরক্ত হন না। উল্টে আনন্দ পান। ব্যবসার বিভিন্ন সমস্যাগুলোর সমাধান করতে তারা উৎসাহিত বোধ করেন। তারা তাদের ব্যবসায় ২৪ ঘন্টাই কাজ করতে পারেন। দূর থেকে দেখলে এটা খুব কঠিন মনে হতে পারে। আসলে কেউ যদি তার পছন্দসই কাজ খুঁজে পায় তাহলে খুব সাধারণ ভাবেই সে অনেক অসাধারণ কাজ করতে পারে।
আমার মতে এই দুই মানসিকতাই একই সাথে স্বাস্থ্যকর আবার অস্বাস্থ্যকর। কেউ যদি এই মানসিকতা দুটোর মধ্যে ভারসাম্য এনে চলতে পারে তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়।
আবার ভারসাম্য আনলে পুরো ব্যাপারটা যান্ত্রিক মনে হতে পারে। তার থেকে আবেগ অনেক বেশি সহজাত এবং স্বাভাবিক।