যার শেষ ভালো তার সব ভালো

আমরা আমাদের জীবনে অনেক কিছুই শুরু করি কিন্তু শেষ করিনা। সেটা কোনো project হতে পারে, novel হতে পারে, painting হতে পারে। কোনোকিছু শেখা শুরু করেছিলাম মাঝপথে ছেড়ে দিয়েছি সেরকম হতে পারে। বা অন্য যেকোনো কিছুই হতে পারে। যখনই কোনো কিছু শেষ করতে অনেকটা সময় লাগে তখনই আমরা কিছুটা শুরু করার পরই সমস্ত ইচ্ছে হারিয়ে ফেলি। শুরু করার সময় আমরা খুব excited থাকি। তারপর আস্তে আস্তে সেই excitement টা হারিয়ে যায়।

তবে আমরা যেগুলো শুরু করি যদি সেগুলো শেষ করতে পারি তাহলে কিন্তু ভালোই হয়। শুধুমাত্র ধারাবাহিকতার অভাবে আমরা পিছিয়ে পড়ি। আর অন্যরা এগিয়ে যায়। এই ধারাবাহিকতা আমাদের জীবনের একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আমাদের জীবনে কিছু করবার জন্য আমাদের ধারাবাহিক হতেই হবে। নয়তো সবসময় এদিক ওদিক ধাক্কা খেয়ে যেতে হবে।

মাঝপথে ছেড়ে দেওয়ার এই মানসিকতা নিয়ে আমরা কোনোদিন কোনো বড় কিছু করার কথা ভাবতে পারবো না। ভুল বললাম। ভাবতে ঠিকই পারবো কিন্তু করতে কিছুই পারবোনা। আর কোনোকিছু করতে না পারলে জীবনটা অনেক কঠিন মনে হয়। আমাদের কিছু করবার মানসিকতা আনতে হবে। জেতার মানসিকতা আনতে হবে।

আমাদের যদি কোনো vision থাকে আর আমরা যদি মন প্রাণ দিয়ে সেটাকে বিশ্বাস করি তাহলে আমাদের সেটার শেষ দেখার জন্য লড়াই করতেই হবে। পথে ভুল হলে ঠিক করে নিতে হবে। কেউ রাস্তা আটকালে তাকে রাস্তা থেকে সরাতে হবে। কিন্তু শেষ অবধি পৌঁছতে হবেই। তবেই জেতা যাবে। নয়তো আর সবাই জিততে থাকবে আর আমরা complain করে যাবো।

এই পালিয়ে যাবার মনোভাব পাল্টানোর জন্য আমরা আমাদের vision টাকে ছোট ছোট milestone এ ভেঙে সেগুলো একটা একটা করে শেষ করার চেষ্টা করতে পারি। আমরা এগুলোকে virtual ending বলতে পারি। এই virtual ending গুলো আসল ending নয়। এগুলো শুধুমাত্র আমাদেরকে vision এর দিকে ঠেলে দিতে সাহায্য করবে।

একটা সহজ উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটা বোঝা যাক।

ধরাযাক আমরা ব্যায়াম করার অভ্যাস তৈরী করতে চাই। আমরা সুস্থ ও fit থাকতে চাই।

হুট করে শুরু করে দিলে হবেনা। শুরু করার আগে প্রথমে একটা vision তৈরী করা যাক। এটা আমাদের আসল ending point হবে। এই ending point এ পৌঁছনোর পরেই আমরা ঠিক করবো যে আমরা এরপর আর এগোবো কিনা। বা যেটা করছি সেটা চালিয়ে যাবো কিনা। তার আগে নয়।

আচ্ছা আমরা চাইছি ব্যায়াম করে সুস্থ ও fit থাকতে। তাহলে আমরা এমন একজনকে খুঁজবো যে ইতিমধ্যে সেটা করে ফেলেছে। যে আমাদের উদাহরণ হতে পারে। আর আমরা যখন ব্যায়াম করে fit হয়ে যাবো তখন চাইবো যাতে আমাদের ওরকমই দেখতে হয়। একদম আমাদের পছন্দ অনুযায়ী চেহারা খুঁজে বের করতে হবে।

Internet এ এরকম কোনো উদাহরণ খুঁজে বের করতে অসুবিধা হবেনা। আমাদের চেনা জানার মধ্যে থাকলেও কোনো অসুবিধা নেই। সেই উদাহরণের সাথে সমকক্ষ হওয়াটাই হচ্ছে আমাদের vision।

এখন আমাদের vision এ পৌঁছানোর জন্য আমরা একটা virtual ending তৈরী করব। এটাকে তাৎক্ষণিক হতে হবে, সহজ হতে হবে আর করা যাবে এমন হতে হবে।

এই ক্ষেত্রে আমরা আগামী তিন দিন পরপর ব্যায়াম করবো এই রকম একটা virtual ending রাখতে পারি। এটা করা খুবই সহজ হবে। আর তাৎক্ষণিকও হবে। এই ending point এ যদি আমরা পৌঁছতে পারি তাহলে আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। তখন আমরা পরবর্তী তিন দিনের জন্য আরও একটা ending point সেট করব এবং এইভাবে চলতে থাকবো।

প্রত্যেকবারই মনে করবো এটাই শেষ। আগামী ৩ দিন টানা ব্যায়াম করতে পারলেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। সেই কারণেই আমরা virtual ending বলছি। এটা কিন্তু সত্যি সত্যি আমাদের মনকে বিশ্বাস করাতে হবে। নয়তো আমরা বড় লক্ষ্য দেখলেই পালিয়ে যাবো।

এই ছোট ছোট যুদ্ধ জেতার আত্মবিশ্বাসই আমাদেরকে vision এর দিকে নিয়ে যাবে। মাঝেমধ্যে দুই একটা ending point এ fail করলেও অসুবিধা হবেনা। আমাদের সামনের দিকে তাকিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

প্রথম প্রথম আমাদের পক্ষে এই ধরণের চিন্তাভাবনার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া কঠিন হবে মানছি। তবে আমরা যদি এটা অনুশীলন করতে পারি তবে আস্তে আস্তে এটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

এটা আমাদের পালানোর মনোভাবকে পরাস্ত করতে সাহায্য করবে। তারফলে আমরা যেটা শুরু করব সেটা শেষ করার প্রবণতা তৈরী হবে।

Krisam Saha

A passionate entrepreneur xenmag.com (360° Marketing & Ads + Top 1% Specialist Network), an annoying husband, a sports fanatic and a crazy thinker. That's it. PS: I am not a writer. I am just trying to write.

মন্তব্য করুন

one × five =