আমরা অনেকেই Blockchain বলতে Bitcoin বুঝি। কথা বলার সময় অনেক ক্ষেত্রেই Bitcoin আর Blockchain শব্দ দুটো একই মানে বোঝাতে ব্যবহার করি। আসলে কিন্তু Bitcoin আর Blockchain দুটো আলাদা জিনিস। Blockchain হল একটা technology যেটা দিয়ে Bitcoin তৈরী হয়েছে।
একটু ভেঙে বললে জিনিসটা বুঝতে সুবিধা হবে। Financial sector এরই উদাহরণ দিয়ে বোঝা যাক।
Bank এর মতো centralized system এর ক্ষেত্রে
এতদিন ধরে যে চিরাচরিত পদ্ধতি চলে আসছে সেই পদ্ধতিতে আমি যদি আমার bank account থেকে অন্য কারুর bank account এ টাকা পাঠাতে চাই তাহলে সেই লেনদেন এর সমস্ত কিছু bank এর মারফতে করতে হবে। Bank চাইলে টাকা যাবে, bank না চাইলে টাকা যাবে না। Bank খোলা থাকলে এক ব্যাপার, bank বন্ধ থাকলে আর এক ব্যাপার। সেই টাকা পাঠানোর জন্য bank যদি আজকে ২% commission নেয় তাহলে তা দিতে হবে, আবার কাল যদি ৩% commission নেয় সেক্ষেত্রে সেটাই দিতে হবে।
এটা একটা centralized system যেখানে bank একটা 3rd party যে আমাদের টাকা পয়সার লেনদেন এর সমস্ত দায়িত্ব নিচ্ছে। তাই সে তার বিনিময় আমাদের থেকে commission fee নিতে বাধ্য। শুধু তাই নয় আমি কাকে, কবে, কখন টাকা পাঠিয়েছি সমস্ত কিছুই bank জানতে পারবে। আর চাইলে অন্য কাউকে জানাতেও পারবে।
Blockchain এর মতো decentralized system এর ক্ষেত্রে
কিন্তু Blockchain system হচ্ছে decentralized system, এখানে কোনো নির্দিষ্ট কেউ তদারকি করেনা। অর্থাৎ আমি যদি Blockchain system এ কাউকে টাকা পাঠাই তাহলে আমি যত টাকা পাঠিয়েছি, যাকে পাঠিয়েছি ইত্যাদি সমস্ত তথ্য ওই system এ যতজন user রয়েছে সবার কাছে store হয়ে যাবে। অবশ্যই encrypted format এ। যাতে system ছাড়া অন্য কেউ সেটা পড়তে না পারে।
যেহেতু সব user এর কাছে কোনো নির্দিষ্ট লেনদেনের তথ্য store হয়ে যাচ্ছে তাই কোনো একটা সংস্থা বা ব্যক্তিকে সেই তথ্যের সত্যতার দায় নিতে হচ্ছে না। তারফলে কাউকে তোষামোদ করবার দরকারও পড়ছেনা। যখনই কেউ কোনো তথ্যে কারচুপি করবার চেষ্টা করবে তখন Blockchain system স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই তথ্যের সাথে অন্যান্য user দের কাছে store করা তথ্য মিলিয়ে তার সত্যতা যাচাই করে নিতে পারবে।
একটা Blockchain system এর ক,খ এবং গ user এর উদাহরণ দিয়ে বোঝা যাক
ধরাযাক একটা Blockchain system এ ক,খ এবং গ ব্যক্তি আছে। যেমন একটা bank এ অনেক account holder থাকে। এবার ক ব্যক্তি যদি গ ব্যক্তিকে টাকা পাঠায় তাহলে সেই লেনদেন এর সমস্ত তথ্য সেই Blockchain system এর সমস্ত user এর কাছে store হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে ক, খ এবং গ সবার কাছেই store করা থাকবে যে ক ব্যক্তি গ ব্যক্তিকে টাকা পাঠিয়েছে। কিন্তু সেই encrypted তথ্য system ছাড়া অন্য কেউ পড়তে পারবেনা। এই পদ্ধতিতে তদারকি করবার জন্য কোনো bank বা ওই জাতীয় কোনো 3rd party এর দরকার পরেনা। তাই লেনদেন এর ওপর কোনো extra charge ও লাগে না এবং কে, কাকে, কবে, কখন টাকা পাঠিয়েছে সেটা অন্য কেউ জানতেও পারেনা।
Blockchain technology ব্যবহার করে Bitcoin তৈরী করা হয়েছে
এই পুরো system টা যে technology দিয়ে তৈরী করা হয় সেটাকে বলা হয় Blockchain, আর Bitcoin হচ্ছে Blockchain দিয়ে তৈরী করা একটা financial service প্রদানকারী। আমরা যে কেউ টাকার বিনিময় Bitcoin কিনতে পারি আর সেই Bitcoin ব্যবহার করে অন্যান্য জিনিস কিনতে পারি এবং চাইলে কাউকে Bitcoin পাঠাতেও পারি। Bitcoin ব্যবহার করলে Blockchain technology এর যে সমস্ত সুবিধাগুলো আমি আগে বললাম ওইগুলো পাওয়া যাবে।
Blockchain technology দিয়ে Bitcoin ছাড়াও অনেক decentralized application তৈরী করা হয়েছে। শুধু financial sector নয় বিভিন্ন industry তে বিভিন্ন কাজ যেমন employee management, customer management, educational certification ইত্যাদির জন্য প্রচুর Blockchain application ব্যবহার করা হয়।