আমরা প্রকৃতির চেয়ে বড় নই। কখনও কি হতে পারবো?
আচ্ছা প্রকৃতির চেয়ে বড় হওয়ার আদৌ কি কোনো দরকার আছে আমাদের?
যারা খুব ambitious জাতি তাদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তিই হচ্ছে সীমানা লঙ্ঘন করা। তারা সবসময় আরও ওপরের দিকে উঠতে চায়। সীমানা বা গন্ডির মধ্যে থাকা তাদের পক্ষে খুবই কষ্টকর। আমরা মানবজাতি হিসেবে জন্মগতভাবে কিন্তু ambitious। সেই কারণেই আমরা আজ এতদূর এসেছি। Ambition আমাদের জীবনে এগোনোর জন্য সুযোগ গুলো চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। যেই সুযোগ গুলো সাধারণত ambition ছাড়া ধরা পড়েনা। আর এই সমস্ত সুযোগের ওপর ভর করেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে চলি।
এগিয়ে চলা ভাল দাঁড়িয়ে থাকার থেকে।
আমরা সবসময় পরবর্তীর জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকি। “এরপর কি?” – এই প্রশ্নটা আমাদের কাছে খুব স্বাভাবিকভাবেই আসে। এই ধরনের চিন্তাভাবনা বা প্রশ্ন কিন্তু অন্যান্য প্রাণী বা জাতির পক্ষে অতটা স্বাভাবিক নয়।
এই পরবর্তী পর্যায়টা ব্যক্তি বিশেষে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অজানা এক পর্যায় হয়। আর এই অজানা সত্তাটা আমাদের কৌতূহলকে আকর্ষণ করে। তারফলে আমরা সেই অজানার দিকে এগিয়ে যেতে বাধ্য হই।
কৌতহল আর ambition এই দুই মিললে এক অনন্যতার সৃষ্টি হয়। আর এই অনন্যতা নিয়েই আমরা জন্মগ্রহণ করি। আমরা প্রগতিশীল জাতি এবং আমাদের এই অনন্যতা আমাদের অগ্রগতিকে সীমাহীন করে তোলে।
হ্যাঁ, এগিয়ে চলা ভাল। তবে দায়িত্বের সাথে এগিয়ে চলা হচ্ছে সবচেয়ে ভাল।
আমাদের অবশ্যই সামনের দিকে এগোতে হবে। তবে আমরা সামনের দিকে এগোনোর জন্য যেই সত্তাগুলো ব্যবহার করছি সেগুলো যদি একটু দায়িত্বের সাথে ব্যবহার করি তাহলে ভালো হয়। এরফলে আমরা যে শুধুমাত্র সামনের দিকে এগোবো তা নয়, আমরা সবচেয়ে সুন্দর ভাবে সামনের দিকে এগোতে পারবো।