সহজ ভাষায়, strategy কথার অর্থ হল,
একটা দীর্ঘমেয়াদী বা সামগ্রিক লক্ষ্য অর্জন করার পরিকল্পনা। অর্থাৎ, আমি যদি কোনো লক্ষ্য স্থীর করি এবং সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে চাই তাহলে কী কী করলে সেই লক্ষ্যে পৌঁছনো যাবে সেই পরিকল্পনাকে strategy বা কৌশল বলে।
Strategy বা কৌশল শব্দটা আগে সাধারণত সেনাবাহিনীতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হত এবং পরে সেটা ব্যবসায় অভিযোজিত হয়। আমরা জানি যে, একটা সেনাবাহিনী এবং একটা কোম্পানি দুয়েরই জেতার জন্য পরিকল্পনার প্রয়োজন হয়। আর সেই কারণেই উভয়ের কাছেই strategy এর গুরুত্ব অপিরিসীম।
বর্তমান সময়ে সাধারণ মানুষের জীবনে internet এর আগমনের ফলে, ব্যবসার জগতটা দিন দিন আরও বহুমুখী হয়ে উঠছে। বিদ্যুতের গতিতে আমরা এবং আমাদের চারপাশ বদলে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটছে, নতুন নতুন ধারার ব্যবসা তৈরী হচ্ছে, উদ্ভাবন হচ্ছে, নতুন সুযোগ তৈরী হচ্ছে। পুরোনো ধারার ব্যবসাগুলো আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। Internet এর হাত ধরে সারা বিশ্ব জুড়ে একপ্রকারের নবজাগরণ ঘটছে।
এই সবকিছু এত তাড়াতাড়ি ঘটার ফলে অনেকক্ষেত্রে আমরা ঠিকঠাকভাবে সবকিছু অনুমান করে উঠতে পারছিনা। চিরাচরিত সমস্তকিছুই ভেঙে গুড়িয়ে যাচ্ছে। নতুন কোনো জিনিস কোন দিকে যাবে সেটা ঠিক করে বুঝে অনুমান করা কিন্তু বেশ কঠিন একটা কাজ। আর সেকারণেই ব্যবসায়িক জগতে বিশ্লেষণ, যুক্তি এবং কৌশলের গুরুত্ব দিন দিন আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে।
যেকোনো সফল strategy বা কৌশলের মধ্যে এই চারটে উপাদান সাধারণত থাকে,
- Strategy বা কৌশলগুলো সহজ, সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা করা হয়
- কোম্পানি বা ব্যবসা যে লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে চায় সেগুলো কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশের সন্মন্ধে গভীর বিশ্লেষণের পর স্থীর করা হয়
- Strategy বা কৌশলগুলো উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটা কোম্পানির সম্পদ বিবেচনা করে এবং কার্যকর পদ্ধতিতে তাদের ব্যবহার করে
- লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য যে ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেয়া হয় তারা দৃঢ়-ইচ্ছাসম্পন্ন হয় এবং তাদের দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকে
কৌশল বা strategy হল সচেতনভাবে কোনোকিছু স্থীর করার একটা পদ্ধতি। প্রতিদিন হাজার হাজার কোম্পানি একটা জায়গায় পৌঁছনোর জন্য প্রতিযোগিতা করে। কিন্তু মাত্র কয়েকজনই এমন কৌশল নিয়ে আসতে পারে যা তাদের জিততে সাহায্য করে।